ডেড’স ফিঙ্গার রিং

10556283_1485146641729293_1318453534560968217_n

 

এই রিং টা আব্বুর ছিল।
একচ্যুয়ালি রিংটা আমি পছন্দ করছিলাম। তাও Singapore ঘুরে কিছু না এটাই ভাল লাগছে। এটার মজা হইল এটা পাজেল টাইপ। পন্ডিতি করতে গিয়ে রিংটা খুলে ফেলছিলাম। খুব ভয় পাইছিলাম। ভেংগে গেছে ভেবে 😦
আমি মিলানোর চেষ্টা করছিলাম তো দোকানদার দাড়ায় দাড়ায় মজা নিচ্ছিল; আমি তো আরো ভয় পেয়ে গেলাম। পরে যখন সে দেখল পারছি না মিলাতে, এসে নিজেই মিলায় দিল। আমার হেব্বি মজা লাগছে দেখে। পরে আম্মুর পিছনে ২০ মিনিট ঘ্যান ঘ্যান করে এটা কেনার জন্য রাজি করানো গেছে। আব্বুই বলছিল। ^_^
আমি তো খুব খুশি, পাজলটা যাতে খুলে না যায় আবার তাদের বলল নিচে দিয়ে এক্টু ঝালাই করে দিতে। দিল। আমি তো ওয়েট করছিলাম কখন দিবে হাতে আমার টা!  তখন রিং টা একটু ডিলা ছিল। তাও আমি এক্সাইটেড পড়ার জন্য!

কিনে-টিনে বের হয়ে আব্বু আমাকে বললে রিং টা আমাকে দিবি!!! আমি একটু না এত্ততত্তত্তত্তত গুলো খারাপ পাইছিলাম তাও বলাম আচ্ছা নেও। আম্মু যদিও পরে বলছে অন্য কিছু দিবে। কিন্তু আমার আর পরে কিছু শখ করে কিনা হয় নাই। একটা ঘড়ি খুব ভাল লাগছিল। দাম অনেক মানে অনেক বেশি, তাই আর কিছু বলি নাই। পরে, অবশ্য আমাকে খেলনার দোকানে নিয়ে মিকি/ মিনির মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পর আর মনেই নাই।

আব্বা অনেক বছরর এটা পড়ছে। আব্বা কোন রিং কখনও শখ করেও পড়ছে কিনা মনে পড়ে না এটা ছাড়া। এই মারা যাবার শেষ কয়েক মাস আগে! এই  ৫-৬ মাস সব খুলে রেখে দেয়া হয়। 😦

এরপর আর মনে নাই এটার কথা। সে দিন আব্বার খাটের পাশের ড্রয়ার খুলে রিং টা দেখে খুব খারাপ লাগতেছিল ধুয়ে এনে আম্মুকে বললাম এটা কাউকে দিবা? না দিলে আমাকে দেও, আমি পরি। 😦 আম্মা রাজি হয়ে গেল।

আব্বা এই রিং টার জন্য ছোট ভাইয়াও অনেক দিন ঘুরছে। বাট আম্মা দেয় নাই কেন জানি!!! রিং টা পরলেই মনে হয় আব্বার হাতের আঙ্গুলের মাঝে হাত দিয়ে রাখছি!

 

 

Miss u dad!! couldn’t tell u how much I love!  I will try to lead ur footsteps! 

ক্ষমা-১

অনেক কথাই না বলা রয়ে গেছে!

অনেকে জনকেই অনেক কথা বলা বাকি! বলা আদৌ হবে কিনা বুঝতে পারছি না!সেভাবে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে তাতে এখন সরাসরি কথা বলতে গেলে এক কথা থেকে দুই কথা ; আবার ঝগড়ায় ট্রান নিবে যদি মিউচুয়্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ না আসে উপর পক্ষ থেকে!

কিন্তু কথা গুলো না বললেও সারা লাইফ আমি আফসোস নিয়া থাকতে চাই না! যত বড় দোষ করি না কেন! স্যতিটা অন্তত স্বীকার করছি! পরে যদি চান্স না পাই!

সেই ছোট বেলায় একক্লাসমেটে সাথে একটুকরা কেক নিয়ে বিবাদ বেধেছিল! আমি তাকে দেই নাই! দিলে খুব ক্ষতি হইত না! সে মন খারাপ করে ছিল! তখন কেন জানি মেয়েটাকে আমার পছন্দ ছিল না! এই ঘটনা আমা মনে এত সুন্দর করে গেঁথে ছিল! যে এর জন্য আমি স্কুল ছাড়ার লাস্ট মোমেন্ট এ তাকে পরীক্ষার পর খুঁজে বের করে আমি স্যরি বলেছিলাম । এর মাঝে ছয় বছর পার হয়ে গেছে! তাও ক্লাস-২ থেকে থাকতে ঘটনা , আর আমি স্যরি বলেছি গিয়ে ক্লাস-৭ এ! আমি হইলাম  সেই মেয়ে! দোষ কি বুঝে করেছিলাম না বুঝে জানি না! কিন্তু জিনিসটার জন্য অফসোশ ছিল! তাকে বলে দিয়ে নিজের মন টাকে হাল্কা করে ফেলেছি! তার আদৌ সেই ঘটনা মনে ছিল না! নিজের মনের সাটিসফেকশন! আজ অন্তত আমার আফসোস নাই সুযোগ ছিল বলতে পারি নাই!

আব্বা থাকা অবস্থায় বলতে পারি নাই তাকে কতটা ভালবাসি! কিন্তু কাজ দিয়ে অনেক ভাবে বুঝাইতে চেষ্টা করছি!  তাও বলা হয় নাই! এখন আফসোস হয়! শেষ এর দিকে আব্বা বুকে মাথা রেখে যখন বলত “মা, আর তো বেশি দিন  বাঁচব না!” আমার খুব কান্না পাইত! কিন্তু কাদঁতেও তো পারতাম না! আমি আব্বুর ব্রেভ বাচ্চা না! আমি কাদলে তো হবেনা!

এর বেশি কিছু করার মত সাহস আমার ছিল না! আব্বা যাবার পর আবারো অনুভব করলাম না বলে আফসোস করার থেকে বলে ফেলা উচিত, যে যাই মনে করুক!

 

জানি এই লেখা গুলো তারা কেউ পরবে না! জানেই তো না আমি যে লিখে রেখেছি!

 

ক্ষমা- ১

শুরু করি তবে সুজন সাহা এ কে দিয়ে! এ বাবুর গুড়াকালের বন্ধু!

পরিচয় পর্বটা ভাল ছিল না আমাদের! দুইপক্ষের কাছে কথা চালাচালির জন্য ধরা খেয়ে আমার হাতে অনেক দাবড়ানি খাইছে! সে তার নিজ বন্ধুদের কাছে বেশ অপমানিত হইছে, আমার জন্য! আমার কারনেই আসলে পুরা ঘটনা ঘটে, অস্বীকার করব না!

আমার সব সহ্য হয় মিথ্যা কথা কেন জানি সহ্য হয় না! গায়ে আগুন ধরে যায়! এই সুজন বিনা কারনে তার বন্ধুদের নিয়ে তামাশা করেছিল! আবার আমার নাম চেলে অনেক ফাউল কথা বলেছিল! সে বুঝতে পারে নাই তার বন্ধুদের সাথে আমার অল্প কদিনের পরিচয় হইলেও তাদের সাথে বোঝাপড়া ভাল! জানলে হয়তো এই কাজ করত না!

আমার আর একটু নরম হওয়া দরকার ছিল! আমারও মাথা গরম হয়ে গেলে কাউকে ছেড়ে দি না! রাগ নিয়ত্রন এর বাইরে চলে যায়! তখন নিজেরও আমার মানুষ মন হয় না! এত ভয়ানক মেজাজ আর রাগ আমার!

আমি কখনো কারো মধ্যে ঝামেলা করতে চাই নাই! যখনি বুঝি আমার কারনে ঝামেলা হইতে যাচ্ছে, আমি চেষ্টা করি নিজ দ্বায়িত্বে সরে যেতে, সে জায়গা থেকে, সেই সম্পর্ক থেকে!  কারো লাইফে ঝামেলা তৈরি করে আমার কোন লাভ নাই! আর আমি কখনো চাইও নাই আমার কারণে কোন ভাল বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাক!

I am sorry everything. Sujan! what ever happened before. May be it shouldn’t happened. তুমি যদি বাকিদের কাছে আমার নামে উল্টা কথা না বলতা তাহলে জিনিসটা এমন হত না! স্কাইপে আমি সব শুনছি তুমি কি বলছ তাদের।!  যেই কথা আমি বলি নাই সেই কথাও তুমি আমার নাম দিয়ে চেলে দিছ! তোমাকে কোন মিথ্যা কথা বলেছিলাম বলে মনে পড়ছে না!

তোমাকে একবার তোমার ডিফেন্সে কথা বলার সুযোগ আমার দেয়ার দরকার ছিল! যেটা আমি দেই নাই! এর জন্য আমি দুঃখিত! অনেক কিছু বলেছি, করেছি! এর জন্য দুঃখিত , কিন্তু আমি ব্যাথিত না!

আমি জানি না তোমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে আসলে রিলেশন কেমন ছিল; বা কি ছিল! বাবু আমাকে আগে কোন দিন বলে নাই। তোমার সাথে ঝামেলা হবার পর আমাকে খুলে বলা হইছে সব! রাসেল ভাই, অপূর্বের ভাই সাথে আগে আমার কথাও হয় নাই! পরিচয় তো দূরে থাক! জাস্ট নামটাই জানতাম! এর বেশি কিছু না!  তোমার সাথে ঝামেলা হবার পর এক এক করে সবার সাথে পরিচয় হল! এটা একতা কোইন্সিডেন্স বলা যায়!

অনেক রাগ ছিল তোমার উপর! বাট লাস্টে কি কান্ড করে তুমি না সবার থেকে বিদায় নিলা!!! আমারে বইন বানায়, কি কি সব লিখে!

যাক, কখনও চাই নাই আমার কারনে কোন ফ্রেন্ডদের মাঝে কখনো কোন ঝামেলা হোক! আনফোরটুনেটলি তোমাদের সাথে হয়ে গেছে! এর জন্য কিছুটা না অনেকটাই আমি দায়ী! এর জন্য আমি ক্ষমা চাই! আরো আগে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম বাট হয় নাই! তোমাদের মাঝের বন্ধুত্ব তো আর ফিরায় দিতে পারব না! কিন্তু i can pray for that, আবারো হয়তো কোনদিন তোমাদের মাঝে একটা সু-সম্পর্ক তৈরী হবে, ইনশাআল্লাহ!!!

যাও একটু যোগাযোগ ছিল তোমার, তোমার ফ্রেন্ডদের মাঝে; আমার কারনে সেটাও নষ্ট হয়ে গেল! I really meant it! I am  really sorry! অনেক কড়া কথা শুনাইছিলাম! অনেক বকাও দিয়েছিলাম! তুমি অনেক বার কল করেছিলে আমাকে; ধমক ছাড়া আসলে কিছু শুনাইনি আমি!

আমার ক্ষমা চাওয়ার দরকার ছিল! আমি চাইলাম! মাফ দেয়া বা না দেয়া তোমার ব্যাপার! আর কোন দিন কথা হবে কিনা জানি না ! যদি সেটাই লাস্ট হয় তবে বেটার ক্ষমা চাওয়া! আবার তামার কখনও বাবুদের সাথে কথা হলে আমার কথা একবার না একবার আসবেই! কেন আসবে জানি না! তবে আসবেই!

অনেক ভুল বুঝাবুঝি হইছে! মনে রাগ ধরে রেখে শত্রুতা বাড়ানোর কোন ইচ্ছা আমার নাই! না ছিল! না আছে! কি হবে সুজন! কি বা হইছে! ক’টা দিনের জন্য এই পৃথিবীতে আমরা আসি! মনে এত হিংসা বিদ্বেষ রেখে কি লাভ বলো!?

ভাল থাক! সুস্থ থাক! আর হিংসা না; অহংকার না! সবার সব কিছু থাকে না! কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই! সবার মধ্যেও কিছু না কিছু ভাল দিক আছে! দোষ দেখতে গেলে অনেক দোষ পাবা! কেউ ভাল গুন গুলো খুঁজে না, খুঁজে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবেও না!

যদি সম্ভব হয় ক্ষমা করে দিও আমার মিস বিহেভের জন্য।

সেখানেই থাক, ভাল থাক! সুস্থ থাক! আশা করি বন্ধুদের মাঝে আবার তুমি ফিরে আসবা!

[i wish if SUJAN would read this post! অন্তত আমার আফসোস থাকত না যে আমি বলতে পারি নাই কথা গুলো! আগের নাম্বার এ অনেক চেষ্টা কয়েছি নাম্বার অফ! ফেসবুজে মেসেজ দিয়েও খুব একটা সুবিধে হয় নাই! সে মেসেজ পড়ে নাই এখনও!

মাঝে মাঝে খারাপ লাগে ছেলেটার মা মারা গেছিল তখন বেশি দিন হয় নাই । এ ইরক্ম একটা সিটুয়েশনে  আমার সাথে ভেজাল হয়ে গেছিল! পরে যে স্যরি বলব সে সুযোগ আর হয় নি আমার!

সময়!

প্রাক্তন প্রমিক কিছুক্ষণ আগে কল দিয়াছেন। 😉
রিলেশন ব্রেক হইয়াছে বলে ঝামটা মেরে ছেড়ে দি নাই 😉
সেই দুঃখে বেচারা এখনোও সুন্দর ভাবে ভদ্রভাবে যোগাযোগ রক্ষা করিয়া যাইতেছেন!!
ত্যানার বিবাহিত বউ ত্যানাকে ছাড়িয়া এরই মাঝে চলিয়া গিয়াছে! এই মেয়েকে তিনি দ্বিতীয়বার বিবাহ করিয়াছিলেন! 😛
এর মাঝে আমি এদের মাঝে কই থেকে যে উদয় হইয়াছিলাম তাহা মাঝে মাঝে ভাবিইয়া বেকুব বনিয়া যাই!! :-SS আগে জানিলে তো এমন বিটলামি আমি করিতাম না! উহু!!!!! কারো ঘর ভাঙ্গিয়া নিজের ঘর করার মত এত্ত ফাজিল এই জল নহে! I-) পরকীয়া করিতে বাধা নাই তবে জল তাহাতে ইচ্ছুক নহে! যাহা হোক!

বর্তমানে তাহাদের একখানা প্যাকেট সাইজ বেবি আছে। 😎 সুন্দর সুন্দর বল বলিতে শিখিয়াছে! B| প্যাকেট খানার নাম রাখ হইয়াছে “সময়” বিশাল বেপার শেপার আছে এই নামের 😉 আহা করা হ্যাঁ এই ছেলেও বাপের মত ত্যাঁদড় মার্কাই হবে আমার সুদোয়ায়! ;q ইনশাআল্লাহ!! 😉

এত কিছু পরো প্রাক্তন প্রেমিকের শখ মিটে নাই 😉 আরো একজনের পিছে বছর ঘুরিতে না ঘুরিতে ঘুরে মরে, মেয়েও শেষ মেশ দাগা দিয়ে গেল গিয়ে! আহা! সেটাও আমাকে এসে বলিয়া গেল 😉
আমার নিজের সময় না হয় জানতামই না যে সে বিবাহিত মানে ডিভোর্সি!! 😛 যখন জানলাম! সিঙ্ক্রিয়েট করার মত এত ধৈরজ্য( বানান ভুল 😛 ) আমার হচ্ছিল না! আসলে ওভার শকে আমি চিল্লা চিলি করার মত ভাষা খুঁজে পাই নাই! সুন্দর করে ভদ্র ভাবে তাহাকে বিদায় জানাইয়া বলিয়া ছিলাম আগের বউ ফিরিয়া আস্তে চাহিলে ফিরাইয়া লইয়া আনতে 😛
স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া হয় এর মানে এটা না যে এক দম ছেড়ে দিতে হবে! নিজেদের একটু সময় দেয়া উচিত!
এটা আমাকে তাহার আগে বলা দরকার ছিল! যাক! এই বলিয়া আমি মঞ্চ ট্যাগ করিয়া চলিয়া যাই!

দুই-দিন দিন চোখের পানি বরবাদ করিয়া আমি আবার আগের ন্যায় নাচাকুদা করে ফেসবুক ব্লগ নিয়া মাইট্যা থাকি! কিন্তু এই মেয়ে তো সব জানিয়া শুনিয়া সম্পর্কে জড়াইয়া ছিল 😛 তাহার নাম খানাও অনেক ইস্মাড়ঠ “ইকরা” B| যাক, এই খবর পাইবার মাত্রই এত্ত বড় একখানা হাসি দিয়াছিলাম সেদিন!;)

প্রাক্তন প্রেমিক বেচারা আজো টাকার পিছে ছুটতে ছুটতে মরিয়া যাইতেছে! তাও টাকা তাহার হাতে ধরা দেয় না! এত ঋণ করিয়া রাখিয়াছেন; কোন জন্মে গিয়া যে শেষ হইবে তাহা একমাত্র আল্লাহই জানেন! 😛

এই ঘটনা ঘটার পর নিজেকে একটা কথাই বলি আরো একটা এক্সপেরিমেন্ট হয়ে গেল! নিজেকে আড় কি বলে সান্ত্বনা দিব ;q ।
আসলেও তো নিজের উপর একটা এক্সপেরিমেন্ট করা হয়ে গেল! আমার নিজের সহ্য ক্ষমতা দেখা হয়ে গেল! ধৈরজ্য ক্ষমতার পরীক্ষা হয়ে গেল! নিজের বিবেক টাকেও একদফা ঝালাই করা হয়ে গেল! অশ্লীলতার বেড়াজালের ফাঁক গলে বের হয়ে আস্তে পারি কিনা সেটাও পরীক্ষা হয়ে গেল!
নাহ পাশ করেছি 😎 ।

তবে এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত আমি আমার ৪ বন্ধুকে আজীবন ক্ষমা করব না! তাহারা প্রাক্তন প্রেমিক এর সবই জানত কিন্তু কোন দিন আমাকে কিছুই বলে নাই! যে বলিয়াছিল তাকে আমি চিনিও না জানি না শুধু একটা ফোন কল আর সাথে কিছু প্রমান দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখিয়া দিল!! এই ব্যক্তি আমার আশেপাশেই ছিল যা আমি তাহার কথা থেকে বুঝিতে পারিছিয়াম! কিন্তু আমি ঠাউর করতে পারি নাই বান্দা কে!!!
তথ্য আমার নিকট গোপন করিয়া বন্ধুরা কি হাসিল করিল জানি নে তবে, ভাল কিছু তাহারা পায় নাই এটা বুজে পারছি। বন্ধুগণ আজ নিজেদের ভাঙ্গা সংসার বাচাইতে আজ ব্যস্ত! ইহা দেখিয়া মাঝে মাঝে আমি অনেক আনন্দিত হই! 😎

>>>>

মূল কথা!

সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বলে খারাপ ব্যবহার করার কোন মানে নাই! মিউচু্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে শেষ করাই ভালো। যে কোন সম্পর্কের মাঝে বোঝাপড়াটা সবচেয়ে বেশি জরুরী! বাকি গুলো মাইনর!!
আর দরকার শুধু বিশ্বাস! এই দুটা জায়গায় ঘটতি থাকলে কোন সম্পর্কের ভ্যালু নাই! কি বাবা-মা- কি ভাই বোন- কি বন্ধু বান্ধব! কি বিশেষ ভালো লাগর মানুষ গুলো , কি স্বামী- স্ত্রী!
কি দুই মুহূর্তরে পরিচয়ে পরিচিত কিছু মানুষ!

আমরা এখন যেই লেভেল মানে বয়সটাতে আছি, একবার না একবার কারো প্রতি ভাল লাগা, পূর্ণ ভালবাসা থাকতেই পারে! সেই মানুষ গুলোকে হয় তো আমরা আমাদের পাশেই চেয়েছিলাম কিন্তু যে কোন কারণে হোক তারা নাই আজ আমাদের পাশে! তার মানে এই তো না যে আমাদের জগতে আমাদের বিচরণ থেকে থেমে থাকবে! বা চাওয়ার পাওয়ার জায়গা গুলো কিন্তু আগের মত থেকেই যায়! স্বাভাবিক মানুষের ধর্ম এটাই! লজিত হবার কিছু নাই! যেটা বাস্তব সেটা মেনে নিতেই হয়!

সবারি একটা চান্স পাওয়া উচিত! আমি মনে করি! এই যে প্রাক্তন প্রেমিক আমার আহা! সত্যটা বলেই সম্পর্কটা শুরু করলেই পারত! সঃয় সব মেনে নিয়ে রিলেশনটা আগাতাম নাইলে ছেড়ে দিতমা। মিথ্যে বলে আজ সে কি পেল আমিই কি পেলাম বা হারালাম!! আর মিথ্যে দিয়ে সম্পর্ক কিভাবে টিকে থাকে তা আমার জানা নাই। এক না একদিন তো সত্য সামনে আসবেই! যা দু দিন পরে ঘটবে সত্য জানলে তা হয়তো সুদিন আগেই হবে ঘটনা এই তো!

আমাদের সবারি কিছু না কিছু অতীত আছে! থাকবেই! না থাকলেই বরন চিন্তার বিশ সে কি আসলেই মানুষ! অতীত আছে বলে কি এই মানুষ গুলাকে একবার আমরা চান্স দিতে পারি না! কিছু সম্পর্কের কোন রিপ্লেস্মেন্ট নাই! হবে না। যায়গা গুলো ছিনায় নিবার কিছু নাই! যার যার জায়গার সসম্মানেই থাকুক না; ক্ষতি তো করছে না! নতুন কিছু শুরু হলে তো সেটা সেভাবেই হোক না! নিজেকে একটা তো সুযোগ দিয়া উচিত!

আমরা কেন ভাল লাগার মানুষ গুলোকে আমাদের অতীতটা বলি!!? যাতে কখনো যদি সেই চলতি পথে অতীতে ঘটনার সাথে জড়িত মানুষগুলোর সাথে দেখা হয়েই যায় তাহলে যেন এই ভাল লাগার মানুষটা যেন হাত ছেড়ে দিয়ে দূরে না দাঁড়িয়ে থাকে! পাশে থেকে যেন এত টুকু ভরসা দেয়, এই যে আছি! সেই কষ্ট গুলো থেকে যেন বের করে আনতে এই ভাল্লাগার মানুষটা সাহায্য করে! কারন সেও নিজেও এই অতীত টা থেকে বের হয়ে আস্তে চায়! এই কথা গুলো না বলা কথা ! এই গুলো কেউ কখনো বলে না! বলবেও না! সবি যদি বলেই দিতে হল তাহলে আর হলও কেমনে করে!
স্যতি যদি কেউ কাউকে ভালবেসে ফেলে আসলেই অনেক কথা বলে দিতে হয় না! বুঝে নেয়া যায়! তা মানে এই নয় সব! কিছু কিছু জিনিশ প্রকাশ করতে হয় 🙂 তবে এটা থিক, এই মানুষ গুলোর ক্ষেত্রে যেটা হয়, সামান্য হার্ট করে কথাও বললেও মনে অনেক লাগে! কিন্তু রাগ ধরে রাখা যায় না! [ঝগড়া হবে কিন্তু আবার ম্লান হয়ে যাবে! অনেক কিছু সহ্য হয়ে যায়! আড় ভালালাগার মানুষ গুলোর জন্য কিছু করতে পারার আনন্দটা একটু ভিন্নই হয়! পাওয়া না পাওয়া কোন কিছু থাকেন আসলে এক্সপেকটেশন লেভেলটাই থাকে না!

যে সম্পর্ক ছিল আগে আমার ছিল সেটা আসলে প্রেম না! ভালবাসাও তো নই। একরকম ভাল লাগার মোহ ছিল! মোহ কেটে যাওয়ায় সেই সম্পর্ক নিয়ে আজ আমার কোন টানাপোড়া নাই! কোন কষ্ট নাই! একটা বার আমি রিগ্রেট করি নাই!

শেষ বিকেলের এলোমেলো ভাবনা গুলো!

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কোন একজনের জীবনের ছোট্ট ব্ল্যাকবোর্ড টার পাশ থেকে রঙ্গিন চকগুলো তুলে নিয়ে; নিজ হাতে ব্ল্যাকবোর্ড টাকে রঙ্গিন করে দিতে। তারপর আবার মুছে দিয়ে আবার রঙ্গিন চক গুলো দিয়ে আকাআঁকি করে দিতে! কেন ইচ্ছে করে বুঝি না! সে তো আর আঁকতে বলেনি! ইচ্ছে করে তার সব ছোট ছোট চাওয়া গুলো আর দুঃখ গুলো তো ভাগ করে নিতে! কাঁধে মাথা রেখে তো বলতে পারবে সে আজ একা নয়! খুব ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে তাকে গিয়ে বলি খুব যে ভালবাসি তোমায়!

দেবে কি সুযোগ তার জীবনের ব্ল্যাকবোর্ডে রঙ্গিন চক দিয়ে আকাআঁকি করার!!? চাওয়া-পাওয়ার বেড়াজালে আসলেও সব চাওয়া, চাওয়াই রয়ে যায়, পাওয়া আর হয় না কিছু! খুব ইচ্ছে করে মানুষটার জন্য ভাল- কিছু রান্না করে খাইয়ে দিতে। খুব ইচ্ছে করে এককাপ চা বানিয়ের তার হাতে দিয়ে সারা বিকেল তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে। খুব ইচ্ছে করে তার দুষ্টুমি ভরা কথা শুনে গাল ফুলিয়ে থাকতে! খুব ইচ্ছে করে সে তার অগছাল কাপড় চোপড় দেখে তাকে একটু বকে দিয়ে তার কাজ গুলো করে দিতে! খুব ইচ্ছে করে তার শূন্য দৃষ্টির মাঝে ডুবে যেতে! খুব ইচ্ছে করে তার না বলা কথা গুলো তার চোখে ভাষায় পড়তে!

বাহ!আমার দেখি ইচ্ছের শেষ নেই! এত ইচ্ছে রাখতে হলে তো একটি ইচ্ছের বস্তা বানিয়ের তাতে রাখতে হবে দেখি! 😀 অনেক ছোট ছোট কাজ এর মাঝেও যে কত আনন্দ আছে ; তা সেই মানুষটা হয় তো কোন দিন বুঝবে না! শুধুই শরীর-তত্ত্বই সব নয়। এর বাইরেরও অনেক কিছু আছে যা আমাদের আনন্দ দেয়! আমাদের ভাল লাগে! এক ঝলকের দেখাও অনেক সময়; সারাজীবনের জন্য বাক্স বন্দি করে রাখতে ইচ্ছে করে! এক পলক দেখলেও মনটা আনন্দে ভরে যায়! সে কথা তো আর তাকে বলা যাবে না! বললে সে বুঝবেও না! অদ্ভুত এক ভাল লাগা! যার উপস্থিতি সহ্য করার মত না, আর অনুপস্থিতিও কুড়ে কুড়ে খায়! তার সব দোষ গুলো মাথা পেতে নিতেও দ্বিধা হয় না! হাজার বকার মাঝেও কোথায় যেন একটা আপন ভাব থেকেই যায়! কেন এমনটা হয় জানি না। বুঝি না!

মাঝে মাঝে এই দুর্বোধ্য ভাল লাগা বুঝতে ইচ্ছেও করে না! মনে ছোট্ট কুঠুরিতে নানান ইচ্ছে গুলো আঁটকে রেখে রেখে এমন অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছি; সেখান থেকে ইচ্ছে গুলোকে আবার বের করে আনতেও ভয় করে! আসলে জীবনটা এত রস-কসবিহীন গেছে কিছু ভাবতেও ভয় লাগে! ভয় লাগে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে ! ভয় লাগে স্বপ্ন বুনতে! সেই স্বপ্নের মাঝে নিয়ে ভাসিয়ে দিতে! কেউ ঠিকই বলেছে সব কিছু সবার জন্য না! এই গুলোর কিছুও আমার জন্য না! থাক, আমি যেমন আছি তেমন!!

সব না হয় নাই বা পেলাম! সব পেলে তো আজ আর আমি জল এইখানে বসে এত বিলাপ করতাম না! বুঝতাম না আসলে কি নিয়ে মানুষ এত হাহুতাশ করে! সব কিছু পেয়ে গেলে জীবনের মজাটা থাকত না! না পাওয়ার মাঝেও এক রকম আনন্দ আছে এটাও হয়তো জানা হতো না! নিজেকে মানিয়ে নেয়া শিখতাম না। দূর থেকে কিছু ভালোর লাগার মানুশের দুঃখ দেখে যে নিজের ভেতরে কষ্ট লাগে তা জানা হয়ত না। আবার তাদের আনন্দ দেখে যে ভেতরে আনন্দ হয় সেটাও জানা হয়ত না! সব কিছু মিলিয়ে আমাদের এই ছোট্ট-খাট্ট আগোছালো জীবন!  

জ্বরের ঘোরে কি যে বকবক করছি বুঝতে পারছি না! নিজের লিখা নিজের পড়ে তো ভালই লাগছে! ১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে বসে আছি জানালার পাশের টেবিলে! জানালা দিয়ে পড়ন্ত বিকেলে আলোয় টেবিল টা কে অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে! পাশের রুমে বাবা পেটের পীড়ায় খুব কষ্ট পাচ্ছে, কিন্তু আমি জল এই টেবিলের কোনায় বসে বসে ল্যাপটপে  খুটখুট করে লিখছি!

মা অনেক করেও আব্বাকে বুঝাতে পারছেন না হাসপাতালে নিয়ে যেতে! আমি আর আমার ভাই বলে বলে হয় রান হয়ে কে রকম বিরক্ত হয়ে এখন বলা বন্ধ করে দিয়েছি! আমার এখন তাকে আর দেখতে ইচ্ছে করছে না! সারা রাত সে এই ভাবেই গোঙাবে! কিন্তু তাও যাবে না হাসপাতালে! সাথে পারিবারিক কিছু অশান্তিতো আছেই! সবারই আছে! আমিও কারো উরধে নই। যার যার সমস্যা তার তার কাছেই অনেক বড় লাগে! বাকিদের কাছে সেটা হয়তো তুচ্ছ! পরিবার থাকলে এটা একটু আধটু থাকবেই!

হাতে ধরেই আমরাই জীবনটাকে এত্ত কঠিন করে ফেলি! তার মাঝে নিজেরাই আঁটকে বসে থাকি! বের হবার অনেক পথ থাকলেও বের হওয়া হয় না! সাহসে কুলায় না! মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ যদি এয়ে একটু সাহস দিত! শুধু বলত পারবে একটু চেষ্টা কর!…… নিজেকে নিজে আর কত সাহস দেয়া যায়! আজ আর না! এমন হাবি যাবি কথা লিখতে লিখতে খাতার পর খাতাই শেষ হবে! কিন্তু অভিযোগ আর অণুযোগের শেষ হবে না! যাই, পড়ন্ত বিকেলে মিষ্টি আলো শেষ হয়ে এল! এইটুকুও যদি উপভোগ করতে না পারি জীবনটা আমার স্যতি ১৬ না ৩২ আনাই মিছে হয়ে যাবে!

 

 

~~~~~

লেখা ছিল ছিল মনে হয় আব্বা মারা যাবার মাস খানেক আগে! আব্বা হাসপাতালে যেতে চাচ্ছিল না! সারা রাত , আম্মু আর আমি জেগে, আমাদের ক্লান্ত শরীর আর মন টানছিল না! এর মাঝে ছিল আমার জ্বর! 

আমার খারাপ লাগে যখন মুহূর্ত গুলোর কথা ভাবি! অনেক বিরক্তি ছিল! অনেক রাগ ছিল! এই রাগ আব্বার অসুস্থতার জন্য না! রাগ আমরা নিজেরা আর কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না! আমরা নিজেরাই অনেকটা বিদ্ধস্ত হয়ে গেছিলাম! অনেক কস্ত লাগত আব্বুর জন্য কিন্তু আমাদের হাতে কিছু ছিল না! এখন তো কেউ অভিযোগ করার নাই! কেউ ডাকে না কাছে এই বলে ” মা এক গ্লাস পানি দে তো!”!   “মা একটু উঠায় বসায় দে তো!”  “একটু মাথা টা টিপে দে তো! ”  ।

অভিযোগ, অণুযোগ করে আসলে কি লাভ হয় জানি না! তারপরও আমরা করি! কিছু কি পেয়েছি আসলে জীবনে এই গুলো করে ! মান অভিমান করে!!!? কেউ কি বলতে পারবে!  আমি অন্তত কিছু পাই নাই! 

সময় আসলে অনেক নিষ্ঠুর! অনেক! অনেক কাছের মানুষের মারা যাবার সংবাদ পেয়েছি। কিন্তু কাছ থেকে মৃত্যু এই প্রথম দেখা! দেখছি কি করে একটা মানুষ তার শেষ দিন গুলো উল্টা গোনে! দেখছি কিভাবে সে তার কাছের জনের জন্য মন থেকে ভালবাসা আর দোয়া গুলো দেয়! দেখিছি কিভাবে সে চায় তার পরিবারের মানুষ গুলোকে কাছে, শেষ বারের মত!

যখন  ভাবি তারও তো অনেক কষ্ট হইছে আমাদের কথা ভেবে, আমরা কিভাবে থাকব! আজকে যখন ভাবি আমি মরার পর কেউ থাকবে না আমার জন্য! আমার নিজের অন্তত কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই!  আমার জন্য কারো কষ্ট পেতে হবে না অন্তত! 

শাড়ি কথন! (আসলে আমার কথন!!! ;) )

DSC_0559এই শাড়ি আম্মু কিনছে মাদ্রাস থেকে! তাও অনেক কাহিনী হইছে! আমরা পছন্দ করে রেখে দিছি! অন্য শাড়ি দেখছিলাম! এক মহিলা এসে এটা উঠায় নিয়ে ডাইরেক্ট কাউন্টারে! :v আম্মা হেব্বি কস্ট পাইছে!! :S

আব্বা পড়ে শাড়ির দোনাকীকে বলছে! দোকানী পড়ে ওই মাদ্রাসী মহিলাকে গিয়া বলছে, “এই শাড়ি টা আলরেডি একজন পছন্দ করছে! আমরা আপনাকে নতুন বানায় দিব! যিনি পছন্দ করছেন উনারা বাইরে থেকে আসছেন! ভলে যাবেন কাল। দেশে থাকলে আমরাই উনাকে নতুন করে বানাই দিতে পারতাম!………….. “

এটা সেটা অনেক কথা বলে পরে রাজি করায়! অই মহিলাও খুশি মনে দিয়ে দিল 🙂 আমাদের সাথে দেখাও করছে পরে 😀   আমার লম্বু চুল ধরে বলছিল, অনেক সুন্দর ঘন! -_- তখন আমার চুল আম্মু ছাড়া কেউ ধরলে আমার রাগ লাগত 😛  ।যাক আম্মার  শাড়ি পেয়ে মহা খুশী ছিল! মুখে-চোখে খুশির ঝিলিক আর কাকে বলে! 😉  ~

~~~~~~~~~~~~*****************************~~~~~~~~~~~~~~~

আজকে আম্মুর তার শাড়ির স্টক গুলো গুচাচ্ছে মনে হয় আজ ৩ দিন হল!! কালেশকন ১০ -১২ বছরের পুরানো! উম!!! কিছু নতুন আছে আছে তাও ৫ বছরের পুরানো!

স্টক গুলো দেখে আফসোস লাগতেছে , আম্মা না পড়লে আর কেউ পড়ার নাই! এক ভাবীরা ছাড়া! 😛 কিন্তু ভাবীরা তো আর এইগুলা পড়বে না কারন আমার কোন ভাবী শাড়ি পড়ে না! :v বড় ভাবি পছন্দ করে শাড়ি কিন্তু সে পড়তে পারে না ভাইয়ার জন্য! আর আম্মু যেই টাইপ পছন্দ করে সেটা আবার ভাবিদের পছন্দ না! :S

আমার আবার হাতের কাজের পেটানো নকশা বা সিল্কের পাতলা জমিন ভাল লাগে! ( মাঝে মাঝে লুকায় আম্মুর শাড়ি গুলো পড়ার ট্রাই করতাম 😀 😛 ) মটুশটু বলে শাড়ি ফুলে ফেঁপে থাকে 😦 বাট সফট সিল্কের গুলো সামলাতে সহজ! আম্মুর শাড়ি গুলো এক সময় ট্রাই করে দেখলাম 😛 পরতে পরতে আর ভাজ ঠিক করতে করতে আমার ঘাম ছুটে যেত!! :S :S চিন্তা করতাম প্র্যাকটিস টাইমে এই অবস্থা কিছু ক্ষণ পরে থাকতে তো আমি সিদ্ধ হয়ে যাব!! 😛 

বেশী মটু বলে কি, না অন্য কোন সমস্যা জানি না। কখনো আম্মা আমাকে শাড়ি পড়তে দেয় নাই! একসময় রাগ লাগত! সবাইকে ট্রাই করতে উৎসাহ দেয়, আমাকে কোন দিন দিলই না!
যাও একবার পড়তে চাইছিলাম বন্ধুর বিয়েতে 🙂 ; আম্মা খালি একটা কথাই বলছিল!
“শাড়ি পরে রাস্তায় পরে; মরার দরকার নাই!” কথাটা মনের মধ্যে গরম শীল দিয়ে ছ্যাঁক মেরে আটকে গেছে আমার! আর কোন দিন শাড়ি পরার নাম নেই নাই! থাক তো দুরের কথা পড়ে দেখা! শাড়ি হাতের কাছে পেলে দেখে-টেখে সুন্দর করে ভাজ করে রেখে দেই! আজকেও তাই করলাম!

আব্বা অসুখ হবার পর আম্মু শাড়ি পড়া এক রকম ছেড়েই দিসে! আম্মাকে আমি শট থেকে দেখতাম বাসায় শাড়ি পরত! আম্মুর শারির আচল ধরে কত ঝুলছি 😀 ফ্যাড় ফ্যাড় করে ছিরে ও ফেলছি 😛 মাইর খাবার ভঁয়ে ছিড়া টুকরা নিয়া খাটের তলায়……………………… আব্বা টেনে বের করে বুকের উপর বসায় বলত খুব ভাল হইছে! হাই৫! 😛 আমি তো মর মর মুখে তাকায় থাকতাম আম্মা আইসা কখন না ঝামটা মারে 😛 নাহ!

আম্মা কিছু বলত না 😀 😀 আম্মুকে নিয়া গিয়া পরে আব্বু আর কিউট একটা শাড়ি কিনা দিত 😉 ব্যপারট টা এমন ছিল! আম্মুর শাড়ি ছিরে গেলে আব্বার একটা চান্স হইত আম্মুকে নিয়া বাইরে ঘুরায় আনার আর নতুন একটা শাড়ি কিনে দেবার 😀 আব্বা তো খুশিই হইত মনে হয় 😛

আর একটা প্রিয় কাজ ছিল, আম্মুর কোথাও বের হলে শাড়ির সাথে গয়না আমি আম্মুকে ম্যাচ করে দিতাম! ^_^  এটা বেশী ভাল লাগত! সব ম্যাচিং ম্যাচিং 😀  

যাই অনেক মজার মজার স্মৃতি আছে আমার আম্মুর এই শাড়ি নিয়ে 😛 লিখতে গেলে এত এত কাহিনী হবে 😀

আজকে আম্মুকে বলছিলাম শাড়ি গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! পরে ফেল! এই গুলো তুমি না পড়লে আর ‘ত কেউ পরার নাই! মনে মনে তাই বলছিলাম, আমিও তো আর শাড়ি পড়িনা যে এই গুলো নিয়ে পড়ব!
শাড়ি লাইফে খুব বেশী হইলে নাচের অনুষ্ঠানে একবার! খুব পিচ্চিকালে! বড় ভাইয়ার বিয়েতে ,আর ভাইয়ার এক ফ্রেন্ডের বিয়েতে পরছি! আর লুকায় লুকায় যা পরছি! :S এর বেশি শাড়ি পড়ার অভিজ্ঞতা নাই আমার!

যাক আম্মা অনেকক্ষণ পর আমাকে বলে হাটাহাটি করে স্বাস্থ্যটা একটু কমাইলে তো শাড়িগুলা পড়তে পারস! হাটাহাটি শুরু কর!
আমি শাড়ি গুলো ভাজ করতে করতে একটু থমকে গেছি! এই কথা শুনব কখনো আমি ভাবি না! তাও আবার আম্মা বলতেছে! আবার ভাজ করতে করতে মুচকি হাসলাম! অনেক গুলো চিন্তার ঝড় মাথার ভেতর দিয়ে খেলে গেল আমার!

আমারকে যে জিনিস কিনে দিয়ে “আমার” বলে না দেয়া হইছে, সে জিনিশ ছাড়া কখনো কারো জিনিশ নিজের বলে মনে করতে পারি নাই! কারণ সেটা শিখানোই হয় নাই আমাকে! একটা দাবী থাকে! যেটা ফ্রেন্ডের মধ্যেও দেখেছি! “মা তোমার অমুক জিনিসটা আমাকে দিবা কিন্তু! , মা অই শাড়িটা আমি চাই! মা, তোমার কানের দুলটা আমাকে দিবা, দেখব!”
নাই, এই স্বভাবগুলো আমার মধ্যে নাই। কেন নাই জানি না! দাবী তো পরের কথা! আসলে নিষিদ্ধ বেড়াজালের ( সব কিছুতে “না না না না না”) মাঝে থাকতে থাকতে এক সময় এই গুলার উপর থেকে আকর্ষণ মনে হয় কমে যায় মনে হয়!

আমি তখন আম্মুর ইশারাটা বুজলাম! 😛 আম্মাকে আজকে সকালেও আমাকে বলতেছিল! হাটাহাটি করে একটু শুকা! :v আমি এজইউজুয়াল এক কান দিয়ে কথা ঢুকায় অন্য কান দিয়ে বের করে দিলাম :S এই কথা আমার না শুনলেও চলবে 😛 মুচুর মুচুর করে বিস্কুট খেলাম আর চা! তখনও আম্মার শাড়ি বের ভাজ করছিল!

এক কথা দিয়ে অঙ্কে কিছু বুঝাইল! সেটা আগে কখনো বুঝায় নাই! কিছু কিছু জিনিশ আসলে মুখে বলতে হয় না ইশারাতেই বুঝা যায়! :S (যদিও এই ইশারা ইঙ্গিত এমই আবার একটু কম বুঝি!তবে এইবার ভুল ভাল বুঝি না, এটা শিউর 😛 কিন্তু এই শাড়িাকি গুলো পরার কোন ইচ্ছা নাই আমার! খোটা শুনার জন্য তার জিনিস পরছি!

সবাইকে অনেক কিছু নিয়ে উতসাহত করতে দেখছি! সেটা আমার এক সময় দরকার ছিল! কিন্তু পাই নাই! আজ তার এই গুলো নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নাই। যে বারিতে থাকি কখনো ফিল করি নাই এটা মার নিজের বাড়ি, সব সময় জেনে আসছি সেটা আম্মুকের নিজের! সো কোন কিছু দাবী করার তো প্রশ্নই আসে না! 🙂 

জীদ্দের বসে এখন লিখছি! এই কথা এখন বলে কি লাভ! এই শাড়িগুলো যে আমার কোনদিন পড়া হবে না! কারন আমি শাড়ি পড়ে কমফোর্টেবল ফিল করি ইনা! কারণ কোনদিন পড়িও নাই! সো এই গুলো আমার জন্য স্টক করে কি লাভ!  উস্টা খেয়ে পড়ে মরব যখন বলে এক সময় দূরেই রাখছ তো আজ এই কথা বলার মানে কি!   এই কথা মনে করায় দিলে আম্মা স্পষ্ট  অস্বীকার করবে! :3 কাড়ন আম্মার এই কথা মনেই নাই! না, থাকার কথা! কথাটা তার জন্য তখন তুচ্ছ ছিল আমার জন্য অনেক বড় ব্যপার ছিল!

নিজের লাইফ থেকে একটা জিনিশ শিখলাম! বাচ্চাদের আগ্রহের সব জিনিশ গুলোতে বাধা দিতে নাই! একবার চান্স দিয়ে দেখা উচিত সে পারে কিনা কাজটা করতে, বা সামলাতে! কারন এই ছোটছোট ইচ্ছাগুলার মধ্যেই অনেক কিছু লুকায় থাকে! দূরে ঠেলে দিলে হয়তো আজীবনের জন্য দূরে চলে যেতে পারে ইচ্ছা গুলো, আগ্রহ গুলো!!

খাবার জিনিশ ছাড়া মনে হয় অনেক দিন আম্মুর কাছে বায়না ধরি নাই, আম্মা এটা কিনে দিবা! ওটা ভাল লাগছে!

এখন অবস্থা এমন আমাকে যদি কেউ বলে কি চাই তোমার!!!! আমি আসলেই ভেবে পাই না কি চাব!

উত্তর তখন একটাই থাকে, “তুমি কি দিতে চাও!?” 

DSC_0564DSC_0563এই দুইটা শাড়ি অনেক বার পড়ে ট্রাই করছি! :S পিন-আপ করা ছাড়া কেমনে শাড়ি পরলে যে সেট হয়ে থাকবে! :S ইস্পেশালি শরীরের পয়েন্ট ২৫ সেন্টিমিটারও দেখা যাবে না 😛    ইসস!! কত মজা লাগত এই গুলা করে!! সব এখন ইঁদুরে কেটে কুট কুট করে ফেলছে :S 

অপলক চেয়ে থাকা আর ভবঘুরে ভাবনারা!

কি টিভি আর কি মায়াতারের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো সব জায়গায় এক খবর  ইসরাইলের অতর্কিত হামলা প্যালিস্টানিয়ানদের উপর!

সন্ত্রাসবাদ দমন এর নাম করে “মুসলমানদের গনহত্যা”। তারা অনেকটা খোলসা ভাবে তা তো বুঝিয়েছিল! তারা প্যালেস্টাইনের বুকে কোন প্যালেস্টানিদের থাকতে দিবে না তাদের নিজ ভূমিতে; ইসরাইল দখল করে নিতে চায় গোটা দেশ! থিক আসে সংখ্যায় না হয় মুসলমান কম এখন! তাহলে তাদের কেন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে না  দেশ ত্যাগ করে চলে যেতে! চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে! কেন?

ইসরাঈলদের ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে! তারা তাদের ক্ষেপনাস্র গুলো পরীক্ষা করে দেখার জন্য এই রকম তান্ডব চাল্লাছে! গিনিপিগ গুলো কে যে ভাবে এক্সপেরিমেন্ট কোড়া হয়! আমার কান্নায় চোখ ভেঙ্গে আস্তে চায় এদের ক্ষমতা আজ এতবেশী যে তারা কাউকে তোয়াক্কা করছে না!

তাদেরও সময় আসবে! আর যখন আসবে তখন প্রকৃতিও তাদের ক্ষমা করবে ন! থাক তো ক্ষমা করার কথা, মানুষদের!

আমার খালী চোখের  সামনে ভেসে উঠে মুসলিম নারীদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মাথার থেকে কাপড় জোর করে খুলে ফেলে, ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা। মসজিদের ভেতরে ষড়শী এক বালিকাকে; মাইক এর সামনে রেখে রেপ করে! মেয়ে আর্তনাদ সমস্ত এরিয়াতে শুনানো!

মাথায় কাপড় দিলেই যদি কোন নারীও সন্ত্রাস হয় তবে তাওয়ার শরীফ অনুয়ায়ী ইহুদীরাও সন্ত্রাস!

তাদেরও  নিয়ম  অনুয়ায়ী বিয়ের পর কোন নারী মাথা ঢাকা ছাড়া থাকতে পারবে না! চুল ঢেকে রাখতে হবে! ঢিলে কাপড় পড়তেই হবে! জাতে  অন্য পুরুষ তাদের দিকে আকৃষ্ট না হয়! তো ধর্ম খালি তাদের জন্য বাকিদের জন্য ধর্ম নয়! তাদের ধর্মে এইকথা লিখা থাকলে সেটা ঠিক ইসলামের সেই একি কথা বললে সেটা বেঠিক! কেন এই ভেদাভেদ! মানুষ জানে না বলে আজ প্রেটেস্ট করতে পারেন!  এই যে মহিলাদের রাস্তা ঘটে এই বাসে ভুলন্ঠি করে এই শম্ব করছে তাদের কেমনে লাগবে যখন এই গুলো কটা হবে তাদের সাথে!

কিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ! কিসের এত আক্রশ তাদের! ক্ষমতা তাদের, দেশ ও আজ তাদের তবে কেন এসের মুক্তি দিচ্ছে! জীবনটা দিয়ে ওদের বের হবার সুযোগ দিক! আজ কোন রাষ্ট্র ইসরাঈলের বিরুদ্ধে গেলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে অবস্থা আজ এমন!

আজ হোক আর কাল হোক আল্লাহ এর বিচর করবেনই! এই সব বর্বরতা ইসরাঈলের অতীত ইতিহাসকেও হার মানিয়ে গেছে!

গাজা বাসীকে নিজে শহরে আটকে রেখে হত্যা করা হচ্ছে! কোথায় যাবে এড়া নিজ ঘরে ছেড়ে পাশের ঘরে গিয়ে থাকবে সেটাও তো নিরাপদ না! রাস্তায় বের হবে মিসাইল ছুড়ে মারবে! দেখে দেখে! মরেছে কিনা সেটা দেখার জন্য আতশ বাজি ফুটানো হবে, হাইট টেকনোলজির যুগে ক্যামেরা নিয়ে দেখে নেয় কোথ্যা কাকে মারতে হবে! রাতের বেলা অত সুবিধে হয় না! দিনের আলোতে যত স্পষ্ট দেখা যায়! এই গুলো কি তার মানে প্রি- প্ল্যান্ড মার্ডার নয়!????   ইহুদিরা তাদের  ইতিহাসিক ভূমি ফেরত চাচ্ছে ,তাই বলে গনহত্যা কেন! land of Israels > Children of  Israel!!!  সুরাহ বনী-ইসরাইল (১৭:৪) এর বলাই আছে!

“আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাবে পরিষ্কার বলে দিয়েছি যে, তোমরা পৃথিবীর বুকে দুবার অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং অত্যন্ত বড় ধরনের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে।”

ভাবী এর থেকে আর কত বড় তান্দব দেখা বাকি আছে মানুষের!!!!

ছোট ছোট এত সুন্দর  বাচ্চা গুলোকে তারা কিভাবে টার্গেট করে মারছে! মানুষের মনে থেকে আসলে দয়া মায়া উঠে  গেছে! ওদের ওই ভাবে মোটিভেট করা হচ্ছে নিশ্চয়; নাইলে মানুষ এত নির্দয় হয় কি করে! তাদেরও তো সংসার আছে , বাবা-মা আছে, ছেলে -মেয়ে আছে!  বুক কাপে  তাদের!

টুইটারে এক ইসরাইলী সোলজার খুব গর্ব করে লিখে দিল, ১৩ টা শিশু মেরেছে এখন মুসলিমদের মারা হবে!তার মানে কি সে ওপেন ডিক্লেয়ার দিয়ে দিল আসলেই সন্ত্রাসবাদ না! তাদের মূল উদ্দেশ্য হল মুসলিমদের হত্যা করা! যেটা এত দিন দকেহে আসা হচ্ছে সেটা মুখে ফাইনালি স্বীকার করছে তারা! !!!!!!!!

হাদিস অনুযায়ী শেষ জামানায় এসে এমন হবে মুলসিম দেশ গুলোতে মারামারি কাটাকাটি লেগেই থাকবে আর মুসলিম হত্যা হতে হতে এমন অবস্থায় আসবে মুসলমানদের সংখ্যা, সংখ্যাগড়িষ্ট হবে! তারপর দুনিয়া আরেক দফা ঘুরে দাঁড়াবে এরপর আবার মুসলিম জাহানের সংখ্যা  বেড়ে যাবে আর বিধর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে!

তাহলে কথা আজ কি দাঁড়াচ্ছে!  সন্ত্রাসবাদ দমনের নাম করে, ধর্ম ধর্ম যুদ্ধ যে খেলা হচ্ছে! এটা করে কি বিধর্মীরা কি এটাই প্রমান করছে না ইসলাম আসলেই দুনিয়াতে একজিস্ট করে! শুধু তাদের ঐতিহাসিক ধর্ম টিকিয়ের রাখার জন্য আজকের এই গণহত্যা চাল্লাছে! জেরুজালেমকে ঘিরে ইহুদীদের যেমন দাবী আছে! মুসলমানদেরও দাবী আছে! খ্রিস্টানদেরও দাবী আছে! ঈসা (আঃ) এর জন্ম এই জেরুজালেম এ হয়! অনেক  নবীর ইতিহাস এই জেরুজালেমকে ঘিরে! তাহলে কেন শুধু  এটা ইহুদিইদের একার দখলে থাকবে! দাবি করার অধিকার বাকিদেরও আছে!

একটার সাথে একটা সূক্ষ্ম ভাবে জড়িত! সন্ত্রাসবাদের নামে  প্যালেস্টানিদের হত্যা বলা হইলেও এর পেছনে ট্যাগ লেগে আছে তারা মুসলিম! খালী মুসলিম সন্ত্রাদের দমন করতে হবে! অন্য ধর্মে কি সন্ত্রাস নাই! তারা সেইন্ট নাকি!

অনেক কথা ভেতরে আজ কাজ করছে! কি হবে কাউকে বলে! ওয়ার্ড পলেটিক্স এর জঘন্য এটার প্রমান পাবার অপেক্ষা রাখে না! যার ক্ষমতা বেশি সে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে!!

গেল বছর পাকিস্তানে জখন আমেরিকা ড্রোন হামলা চালায় একটা পর একটা সন্ত্রাসবাদ নামে! তখন  টিভিতে তা দেখে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম!  নিজের দেশে অন্যএর  বিমান হামলা চাল্লাছে তাদের তোয়াক্কা না করে! তারমানে কি আমরা সবাই গিনিপিগ আমাদের এমনতেই মতে হবে আর অমনেই মরতে হবে সোজা কথা মারা মুসলিম মানে সন্ত্রাস আর গিনিপিগ জাতীয়!  এই গুলো টেস্টহিসেবে ছোট ছোট ড্রোন পাঠানো হয়! এর অর্থ কি আর ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসীর জন্য!!!

আমি বেশ কদিন আমার রুমে ঘুমাতে পারি নাই! একে তো বড় বড় জানালা, আলো আসলে পর্দার ফাকা দিয়ে ।আলোতে আর শব্দে আমার ঘুম আসে না!  তার উপর প্লেনের শব্দ শুনলেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যেত। আমি কয়েক্রাত জেগেই কাটালাম! ঘুমাতে গেলে পেন এর শব্দ শুনলে মনে হত এই বুঝি বাইরের দেশের প্লেন এসে বোমা মারল! জানি না কেন আমার এই ধারনা হয়ে বসে ছিল! মানসিক ভাবে ব্যাপারটা আমাকে ভালোই নাড়া দিয়েছে! 😦 বুজলাম অনেক সেনসিটিভ মনে মানুষ। এত ভয় নিয়ে বেচে থাকা যাবে না! দুর্বল হার্টের রুগী! 😦 আমাদের আসে পাশে ঘটে যাওয়া আসলেই আমার মনে অনেক গভীর ভাবে দাগ কাটে নাইলে আমার এমন হবার কথা না!

গেল দুই রাতও আমার ঘুম হয় না! সেই প্লেন এর শব্দ শুনলে আমার মনে হয় আবারো এই বুঝি হামলা হল! ইউটিউব থেকে বর্তমানে গাজার অবস্থা দেখে দেখে আমার মনে অবস্থা খারপা হয়ে গেছে!খালী ভাবি আমাদের সাথে আমন হলে আমরা কই যেতাম  কি করতাম! আল্লাহ আমাদের উপর এখনো রহমতের দৃষ্টি দিয়ে রাখছেন!  রোজা নামজ পড়ি আর সেই মানুষ গুলো জন্য দোয়ার করছি! নিজের পরিবারের-বন্ধু-বান্ধবদের সুস্থতার জন্য দোয়া করছি! অস্বাভাবিক নয় স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দোয়া করছি!  আমার গেল রাতে হঠাৎ করে এত কান্না পাচ্ছিল! আমি নিজে আশ্চর্য হয়ে গেলাম! আমারচোখে দিয়ে জল গড়ায় পরে আমার হাতটাই ভিজে গেল! নিজের বাবা আজ নাই তাতেই অনেক অপূর্ণতা অনুভব করছি আর সেই ছোট একটা শহরে শত শত বাচ্চা অনেক অনাথ হয়ে আবার তারাই মারা পড়ছে! তাদের জন্মই যেন হইছে মরে যাবার জন্য!

মন আজ অনেক বেশি অশান্ত আমার! তাই বসে বসে কি যে লিখছি! আমার কাছে কোন কথার ব্যাখ্যা নাই! তক করার ইচ্ছা নাই! যা আমার এই চোখে দেখছে আর এই চোট মাথাটা বুঝছে আর সেই মন যা অনুভব করছে তাই লিখছি! লিখে লিখে হাল্কা করছি নিজেকে!

মাঝে মাঝে ভাবি!  কুরআনিক অনেক ব্যাখ্যা আজ সাইন্স দিতে পারছে যেটা অন্য কোন ধর্ম দিতে পারেনাই! কোন মিথ নাই! সব কিছুরি ব্যাখ্যা আছে! জার বছর আগের বলা কথা গুলো আজ প্রমাণিত  হচ্ছে ! অনেক কিছু এখনো প্রমান হয়াও বাকি! কুরআন এ তো বলাই আছে , আমরা অনেক কিচু জানি না যা আল্লাহ জানেন! যখন পৃথিবীর সমস্ত রহস্য উন্মুক্ত হবার শেষ  মুহূর্তে চলে আসবে তখন  এই কেয়ামত এর দিনের  ঘনায় আসবে!

আমি অনেক দিন ধরে অনেক কথার ব্যাখ্যা খুঁজছিলাম! অনেক মুসলিম পরিবারে জন্ম হলেও এর কোন অলামত আমার মধ্যে নাই!

তবে হ্যাঁ অনেক পরিচিত আমাকে এমন বলেছে, ধর্মকর্ম মানি না! তাইলে কেন আমি  খোলা মেলা চলা ফেরা করি না! আমি আসলে জানি না! আমার ওয়াইল্ড চলা ফেরা উন্মক্ত হয়ে ঘোরাফেরা কেন জানি পছন্দ না! উগ্রতা পছন্দ না সোজা কথা! কিছু জিনিসই এর লিমিটেশন আমি পছন্দ করি! সব যদি হাতের মুথোয় চলে আসে তবে তার কোন মুল্য থাকে না শ্রদ্ধাও থাকে না!

অনেক কিছুই ভেবে দেখলাম! অনেক বছর চিন্তা করে দেখালাম! আমার জ্ঞানের পরিধি অত নয়। একটা জিনিশ আমি খেয়াল করে দেখেছি, আমরা মানুষ জখনও কোন সমস্যা উপনীত হয়! যারা আমরা দরম কর্ম বিশ্বাস করি না! তাও এক রকম সুপা ন্যাচারাল কিছুর কথা চিন্তা করি, অলৌকিক কিছু হলেও যেন সমস্যার সমজা ধান হয়! অদৃশ্য এক শক্তির কথা আমরা স্মরণ ঠিকই করি! এটা নিজের অজান্তেই করি! তাইলে কি আমরা মনের অজান্তে আসলে একটা ধর্ম লালন পালন করি।

তবে কেন জানি বিবেক বলে যদি মানতে হয় তবে শেষ ধর্ম মানো! এটার একজিস্টেন্স এর এর ব্যাখ্যা আছে এমন উপযুক্ত ব্যাখ্যা আছে। কি মানব সৃষ্টি, কি একটি মানবজন্ম, কিভাবে এই সৌর জগতের গঠন! সাত আসমান! টাইমে ট্র্যাভেলের একজিস্টেন্স। বিগ ব্যাং থিউরি! আমি বিশ্বাস করি! টাইম ট্র্যাভেলও সম্ভব এক সময়! এটা যদি মেনে নিতে পারি তবে কেন আমি ইসলাম ধর্মটাকে মানব না!! কোন যুক্তি নাই না মানার! মরতে তো হবেই আজ হোক আর কাল! নাহয় এই বিশ্বাস নিয়েই মর ওরের আর একতা জীবন আছে!  যেটা অন্তত কালের!

ইসলামের ইতিহাস থেকে যেটা জানলাম! যে কোন জাতি ধ্বংস হবার আগের আল্লাহ তার এক উম্মাহকে এই পৃথিবীতে পাঠায়! তার আগের কোন জাতীর বিনাশ নাই! এবং ইতিহাস তাই বলে!

সেই থেকে বিশ্বাস হচ্ছে! ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আবির্ভাব খুব তাড়াতাড়ি হবে! সাথে ঈসা(আঃ) !    তাদের রাজ্যতের ৪০ বছর পরে গিয়ে কেয়ামতে সংগঠিত হবে! আমি দোয়া করি সেই মুহূর্ত দেখার জন্য আমি বেঁচে না থাকি! এই দুনিয়ার আর অত্যাচার দেখার মত সহ্য ক্ষমতা নাই আমার!

এইযে ধর্ম ধর্ম যুদ্ধ  নামের যে হত্যার খেলার খেলা হচ্ছে!  এর কোন নিস্তার নাই! চলতেই থাকবে! চলতেই থাকবে আরও ভয়ানক কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আসলে! আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য তৌফিক দান করুক! এই দোয়া করি! আমাদের উপর প্রান্তের মানুষ গুলোর জন্য  মন থেকে দোয়া করা ছাড়া আসলে  বর্তমানে আমাদের  আসলে কিছু করার নাই!

আল্লাহ জালিমদের মনে রহমত দান করুক! নিরীহ মানুষ গুলোকে বেঁচে থাকার তওফিক দিক!

অনেক এলোমেলো হয়ে গেলো 😦 আসলেই মন টাই অনেক  খারাপ হয়ে গিয়েছে! নিজের ঘরের অশান্তির শেষ নাই তারউপর সারা দুনিয়ায় অশান্তি লেগে আছে! আহাজানি, রাহাজানি, বর্বরতা, অশ্লীলতা! সব কিছু মিলিয়ে জীবন আজ স্যতি  বিষিয়ে উঠেছে! এত কিছুর মাঝেও আমাদের ভাল ভাবে বেচে থাকার ইচ্ছায় আমরা এখনো টিকে আছি!

মন অশান্ত থাকলে নামাজে বসে গেলেই দুনিয়ার সময়টা কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যায় এমন মনে হয়! যাক যা হবে ভাল জন্য হবে এই ভাবে যদি মৃত্যু লেখা থাকে তবে ধরে নেব এর মাঝেই আছে কোন ভাল কিছু!

এই নষ্ট পৃথিবীর “ধর্ম ধর্ম যুদ্ধ” আজ আমার বিশ্বাসকে আর একটু এগিয়ে দিল ইসলামের দিকে! যে যা করবে তার কর্মের ফল সে দুনিয়াতেই দেখে যাবে আগে! এটা নিয়ম। প্রকৃতির ও এর এক অদ্ভউড লীলা খেলা। জেই প্রকৃতির যে মাতি দিয়ে  মানুষকে তৈরি কোড়া হয়! এক মানুষ তার লোভের জন্য অন্য  মানুষ সেই মাটির কাছে বিকৃত করে পাঠাচ্ছে! (খুন খারাপি, বোমা মেরে হত্যা করে) সেই মানুষগুলোর এই ভুল গুলো কখন  ক্ষমা করবে  না!  হবে না!

 

একবসাতে কত কি লিখলাম! আমার মত কত মানুষে কত ক্ষোভ আজ জমে আছে! নিজের সমস্যা গুলো আজ স্যতি খুব তুচ্ছ মনে হচ্ছে আমার! জীবন হাতে নিয়ে আমার অন্তত রাতের পর রাত -দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে না এই ভেবে আমি কাল বেচে থাকব কিনা বোমার আঘাত থেকে!

gaza

এক রাজা- দুই রানী ও সাদা গোলাপ!

The White Rose

 

 

না না! আমি কোন রাজা রানীর গল্প বলব না এখন!  আমি তো গল্প জানি না কেমনে বানায়! নাইলে তো কত রূপকথার গল্প এত দিনে লিখে ভরায় দিতাম!  😦

একটা গল্প লিখে ছিলাম অনেক আগে!  এই সাদা গোলাপ নিয়ে! এক রাজা আর দুই রানীর গল্প। নিজে লিখে নিজের এখন  মনে নাই! :v

 

গল্পের প্লটটা আমাকে দিয়ে ছিল অনলাইনের এক বন্ধু! 😛 দুই লাইন, বাকিটা আমার শেষ করতে হবে!! (আল্লাহ জানের কি কাড়নে তার মাথায় ভুত চেপে ছিল!)

এক দেশের ছিল এক রাজা আর এক রানী। রাজার মনে অনেক দুঃখ। সে রানীকে ডেকে নিয়ে বলল তার মনে অনেক কষত তার কোন সন্তান না! তার পরে এই রাজ্যের কি হবে!? রানী বলল……………………………

 

এরপর আমি দুষ্টামি করে বলছিলাম; রানী বলল, সন্তান তো না নাই, রাজা তুমি বনবাসে চলে যাও! রাজা এই কথা শুনে মনের দুঃখে রাজ্য ছেড়ে চলে গেলে! রানী রাজ প্রাসাদে একাই থাকল :v :v :v (আহ! অনেকটা এই রকম! ) 😛

সেই বন্ধুতো তেলে বেগুনে ছ্যাঁত করে উঠল 😉 । রাজা আবার রাজ্য ছেড়ে যায় নাকি? 😛 কি আজিব কথা বার্তা!  ইতিহাস পালটায় দিলাম! 😉 সব সময় তো রানী রাজ্য ছেড়ে বনবাসের যায় xD

তারপরের রাতে বসে এই দুইটা লাইনকে  বেস করে একটা গল্প দাড় করারই! আমার নিজের কাছে গল্পটা একটু অন্য রকম লাগছে! :S আসলে শেষ রাতে বসে বসে মনে ভেতরে থেকে যা আসছে তাই লিখেছিলাম! 😛  রূপকথার গল্পও ঠিক হয় নাই! আবার বাস্তবের সাথেও যায় না 😛 কিন্তু উপরের এই সাদা গোলাপের একটা পার্ট ছিল! 😛 …………………”বড় রানীর সাদা গোলাপ খুব পছন্দ ছিল! আর নিয়ম করে রোজ রানী গাছে পানি দিত!”  😛

O:) আমার নিজের লিখা গল্প আমি নিজেই ভুলে গেছি! 😛

এই লেখা কাটাকাটি স্বভাবের জন্য গল্পটা হারায় গেল!  😦 এখন নিজের আফসোস হইতেছে! ইসস! কেউ যদি গল্পটা এনে দিত! 😦

আমার ভাতিজিকে একবার শুনাইছিলাম দেখে দেখে পড়ে! সে আবার কিছু দিন আগে শুনতে চায় বলে বায়না ধরে, আমিতো কাহিনীই ভুলে গেছি কি আর বলল! জোড়া তালি মেরে যাও বললাম! :S সুবিধা করতে পারলাম না!  তার ব্রেন এত শার্প; ঠিকই ধরে ফেলছে আমি কাহিনী চেঞ্জ করে বলছি :S

 

যাক! এই টাইপ গল্প সারা জীবনে আমার লিখা হবে না! সেইবার কেমনে কেমনে জানি লিখে ফেলছিলাম! :v

 

 

পুরানো আমি; নতুন আমার পোস্ট!

অনেক দিন থেকে এই ব্লগে লিখছি! ঠিক লিখছি বললে ভুল হবে, লিখছি আবার পোস্ট গুলো গায়েব করে দিচ্ছি! এটা নিয়ে অনেকে আপত্তি করেছে, করছে! কিন্তু এটাই মজাই! আজাইরা লিখে জমিয়ে রেখে কি লাভ! 😛 এটা তো আর ডায়রি না যে লিখলাম, পাতা ছিঁড়তে ইচ্ছা হইল আর ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দিলাম 😛

যাক! অনেকদিন থেকে এই একাউন্ট তা বন্ধ করে দিব দিব করছিলাম! কিন্তু করতে না পারায় সব পোস্ট মুছে দিয়ে একদম “ব্র্যান্ড নিউ” ভবে লিখা শুরু করলাম! এর আগেও একটা ব্লগ খুলেছিলাম ওয়ার্ড প্রেসে! সেটা ছিল ভার্সিটি পারপাসে! 😛 ২০০৯ এ এইখানে হাবিজাবি লিখার মধ্যে দিয়ে নাম্বার ছিল! 😛 কিছু না জাস্ট কিছু একটা লিখতে হবেই! স্যারের কাছে আমাদের সবার ব্লগের আইডি এর লিঙ্ক দেয়া আছে! উনি এটা চেক করতেন! আর এটা ছিল আমাদের এক্সট্রা মার্ক এর একটা সুযোগ! স্যারযে এটা ফলো করতেন তা আমার জানা ছিল না! কত যে হাবি যাবি কি কি লিখছি! :S তখন যে ব্লগে কি যে লিখব তা তো বুঝে পাইতাম না! :S স্যারের কাছে আইডি দেয়া! হায়হায় কি হবে কি হবে চিন্তা করতে করতে লিখা হয়ে উঠত না! 😛 । এখন তো আমি আর লিখালিখি করি না! বাংলায় টাইপ করার খুব শখ ছিল তখন আমার কিন্তু টাইপিং পারি না! কি করব! সেই ইংরেজিতে মাতব্বরি করা শুরু! আমার সেই একাউন্ট এর নামটা মনে নাই! আইডিটা ঠিকমত ইউজ না করতে করতে পাসওয়ার্ড হারায় ফেলছি!:3 আরও অনেক পরে এই “জলকনা” একাউন্টটা খুলি!^_^ এরপর যাই লিখি , কয়েক মাস পরে লিখা ডিলিট করে দেই 😉

এর আগে ২০০৭ থেকে “সামোহোয়ার ইন ব্লগ” এক রেগুলার পাঠক ছিলাম আমি! একটা দিন নাই যে আমি সেখানে যাওয়া মিস করতাম! ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে সময় দেখে, হাত মুখ ধুয়ে এসে মোবাইল হাতে নেট ওন করেই সামুতে গিয়ে বসে থাকতাম! নাস্তাও সেই মোবাইল হাতে! আম্মা যা বকত আমাকে! :V

তখন আমি কোন ব্লগে বা ফোরামে জাস্ট কমেন্ট করতাম! ২০০৯ এ এসে টুকটুক লিখি 😛 এই ওয়ার্ড দিয়ে লিখালিখির যাত্রা শুরু 😛 😉 আর লাইফে যাও লিখা দিশি হয় ইশকুলের ম্যাগাজিনে নাইলে সংবাদ পত্রিকায়! 😀 সবকটাই লেখা গেছে! 😀 ^_^ । এটাই আনন্দের কথা! পেপারকাটিং গুলো নাই! বাসা বদলের সময় হারায় গেছে! 😦 যাক! তাতে কি!

এটা তো গেল শুরু দিকের কথা।
গেল বছর ফেসবুকে একটা বাঁদরের এর সাথেতে পরিচয়!! 😛 স্যতি কারের বার নয়! 😉 বাদর স্বভারের একটা বন্ধু!:P কই থেকে একদিন সে আমার এই ব্লগের খোঁজ পাইল, ঢুকেই আমাকে স্কাইপে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্লগ খুললাম কেমনে! আমি শুনে কাচু মাচু করছিলাম;কোন ব্লগ নাই আমার বলে! 😛 তখন সে আমারই লিখার কিছু লাইন আমাকেই পড়ে শুনাছে! আমি তো পুরাই টাস্কি খেয়ে গেলাম!
শেষ এ থামাতে না পড়ে আমি বললাম পেইজটা রিফ্রেশ মারো দেখি! 😛 এটা বলার আগেই ঝটপট আমি লিখা গুলো হাইড করে দেই! কিন্তু সে এত চালাক! বুঝে ফেলছে আমি কেন তাকে পেইজ রিফ্রেশ করতে বলছি! ঠিকই লিখাটা পড়ে শেষ করে সে তারপর রিফ্রেশ করে! এরপরে বলে “আমি জানতাম তুমি এটাই করবা!” এই জন্য রিফ্রেশ করি নাই তখন! :3

হা হা হা! বেশ মজার একটা সময় ছিল! সে নিজেও লেখালিখি করে! দারুণ সব কবিতা লিখে ফেলেছে এরই মাঝে! আমার জানা ছিল না যে সে একজন ব্লগার! তাও আবার পাক্কা ব্লগার 😛 আমাকে সে বলে নাই যে অন্য কোথাও লিখে! তারও হাতে ব্লগের হাতে খড়ি প্রথম আলোর ব্লগ দিয়ে! এর মাঝে সে আমাকে কয়েকটা সেন্সনাল ব্লগে ঘুরায় 😉 যে গুলা এক কালে আমিও ঘুরে-ঘেটে খেয়ে আসছি 😛 আমি যখন যাই তখন সেগুলোর ওপেনিং টাইমে ছিল! এখন বেশ ডেভেলপ করেছে! আহ কিছু ছিল চ্যাট রুম! 😛 কথা বলাও যাবে , আবার লিখাও যাবে!=) সেইগুলা আসলে আমাদের মত পোলাপাইনদের জন্য না 😦 অই গুলা হইল তারছিড়া পোলাপাইনদের জন্য!! মানে আমাদের থেকে বেশি তারছেঁড়াদের জন্য :v ………… আর আমার সেই বন্ধুর মত সেনসিটিভ পাবলিকদের জন্য তো নয়ই!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :v এক মিগ৩৩ এর পাল্লায় পড়ে আমার খবর হয়ে গেছিল! :S মাফ চেয়ে, দোয়া চেয়ে, চ্যাটিং রুমগুলো গুলো থেকে ইস্তফা নিলাম! :3
যাক পুরানা জায়গা গুলো ঘুরে আসাতে ভালাই লেগেছিল! অনলাইন ভ্রমণ বলা যায় 😉

আহা! আবার কতদিন পর স্মৃতিচারণ করলাম 😛

প্রথম প্রথম ইংরেজি ব্লগ গুলো ঘুরে বেড়াতাম আর ভাবতাম বাংলা ব্লগ যদি থাকত! 😛 ছিল! কিন্তু আমি ওয়েব এ্যড্রেস জানতাম না বিধায় খোঁজ করা হয় নাই! এরপর সামু পেলাম, সেটার হাত ধরে আর কিছু ব্লগ পেলাম!প্রথমআলো ব্লগ, সচলায়তন, নাগরিকব্লগ, চতুর্মাত্রিক!
এই ব্লগ গুলোর খোঁজ দেয় আমাকে; সময়ের স্রোতে ভেসে আসা কিছু বড়ভাই। যারা কিনা ছিল কেউ উঠতি লেখক, কবি, সাংবাদিক!!!!! 😛

খুব আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল! তখন মাত্র সবে মেট্রিকপাশ করলাম! অনলাইন দুনিয়া নতুন নতুন! তার উপর ফোনের ইউজ নতুন নুতন! যদিও আমার হাতে সেলফোন আসে ২০০০ সালেই 😛 যখন এটা আমার জন্য গেইম খেলার যন্ত্র ছাড়া কিছু ছিল না! -_- যাক!

মানুষজনকে জানার এক অদ্ভুত আকর্ষণ ছিল আমার! বয়সের দোষ বলে সবাই যেটা জানে আরকি! অনেকের সাথেই কথা হয়! পরিচয় হয়! অনেক কিছুই নতুন নতুন শিখছিলাম! পত্র মিতালী আর মুঠোফোন বন্ধুর অভাব ছিলনা তখন! ২০০৫-০৬ এর কথা! এই উঠতি সাহিত্যিকদের খোঁজ হঠাৎ করেই পেয়ে যাই! কত প্রকারের যে বান্দা দেখাম! দেখলাম তাদের বেসামাল অবস্থাও! 😛 সব অভিজ্ঞতার ঝোলাতে পুরে রাখতে শুরু করলাম!

তখন যে ব্লগগুলোতে বেশি ঘুরতাম The Huffington Post, Dooce, The Sartorialist,Garance Dore!!! বাংলা ম্যাগাজিন গুলা পড়া হইত! এর মাঝে যাযাদি(যায়যায়দিন) ম্যাগাজিনের কাজ করে এমন একজনের সাথে পরিচিত হওয়ার সুবাদের মোটামুটি চারুকলা থেকে শুরু করে আজীজসুপার মার্কেটের আড্ডাখানার খবরসহ সবখবর মোটামুটি আপডেট থাকত আমার! 😛 বাংলাদেশের মিডিয়া জগৎ নিয়ে নতুন এক ধারার সাথে আমি পরিচিত হতে শুরু করলাম!

যাক সে কথা যাক! কই থেকে কই গেলাম 😛
তো ২০০৯ এর দিকে এসে বাংলা ফোরাম আর ব্লগের রফা-দফা অবস্থা দেখে আমি ব্লগ-ফোরাম ভ্রমণ ছেড়ে দেই! আমি সামুতে একবেলা না ঢুকলে আমার খাওয়া হজম হত না! সেই আমি আস্তে আস্তে ফেসবুক আসক্ত হয়ে পড়লাম! সেটা অব স্কুলের কিছু বন্ধু খুঁজতে গিয়ে হয়! আর কিছু সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর পাল্লায় পড়ে গেলাম;টুইটার, মাইস্পেস, হাইফাইভ > ট্যাগড! 😛 বেশ কয়ক বছর পর সেই বন্ধুর শাহতে পরিচিত! তাকেও পাই ফেসবুকে এক সামু ব্লগারের থ্রু, এরা এ্যড হবার আগে আমার জানা ছিল না এরা যে ব্লগার! 😛 তাইলে হয়তো এ্যড ই করতাম না :S
ফেসবুকের আসার মাস খানেক আগে আমার এমন অবস্থা ছিল কেউ ব্লগার বলে পরিচয় দিলে আমার মেজাজ চরম খারাপ হয়ে যাইত! :S

যাক সে কথা! তো সেই বাদর মার্কা বন্ধুটা ওয়ার্ডে আমার সেই আজিব ধরনের লিখা পরার পর বাংলা এক ফোরামের সাথে পরিচয় করায়! মজার ব্যাপার হইল, এই ফোরামেও আমি আগে অনেক ঘুরে গেছি! কিন্তু বলতে মনেই পড়ে নাই!!!! মানে অফ লাইনে ঘুরে গেছি অনেক। ভেতরে গিয়ে আর দেখা হয় নাই! এই ফোরামটা আমি একটা টেকিফোরাম বলে জানতাম! ভেতরে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার! বন্ধুতো আমাকে রীতি মত মারের উপর রাখছে! লেখা দেও একটা! কি যে লিখব তাই ভেবে পাই নাই! অভ্যাথনা কক্ষে গিয়ে লিখলাম কিছু , লিখতেও আমার জান ত্যানা ত্যানা হয়ে গেছে! :v সারা দিন লাগায় লিখছি! তাও আবার বাংলায়! আমি টো বাংলা টাইপও ঠিক মত করতে পারি না! ওয়ার্ডে জাও লিখতাম, দুই চার লাইন সেই বাংলাটাইপিং প্র্যাকটিস এর জন্য :S সত্য বলতে যেটা! 😛 এই জন্য লেখা গুলো মুছে দিতাম (যা সত্য কথা বইলা দিলাম 😛 ) পরে! 😛
আমার ফোরামের আসার সময় একটা শর্ত ছিল! বন্ধু দিয়ে দিছিল! আমি কাউকে বলতে পারব না! যে আমি তার পরিচিত 😉 বেশ রোমাঞ্চ ব্যাপার স্যাপার! দেখার বিষয় সবার রিএকশন কি থাকে! আমি বেশ ভয়ে ছিলাম! কি না কি হয়! গালাগালি ছাড়া তো বাংলা ব্লগ আর ফোরামরে কিছু দেখি নাই! :v ওহ নাম বলি নাই! এটা “প্রজন্ম ফোরাম” 😛 ………

এটার কথা হাইলাইট করছি কারণ, অন্য কোন ব্লগ বা ফোরামের কেউ আমাকে এইভাবে এন্ট্রি নিতে সাহায্য বা উৎসাহিত করে নাই! সেইবন্ধু আমাকে ফোরামে দৌড়ের উপর রাখলেও, যখনি তার সাহায্য চাইছি, সে সাহায্য করছে! আবার সবার সাথে মেশার সুযোগও কে দিসে! এই বলে 😛 যাও অমুক কে জিজ্ঞাসা কর, তমুখ কে জিজ্ঞাসা কর! আসলে আমার জড়তা গুলো সে ভাল কাটাইছে! হুমকি ধুমকি মেরে! আমি সেই প্রথম পাব্লিক্লি ইন্টারেক্ট করি! এই ওয়ার্ড ব্লগেও আমার পরিচিত কেউ ছিল না! আমিও লেখা পড়তাম খুব কম!
আস্তে আস্তে মনে হয় নিজের জন্য ছোট একটু জায়গা পেয়ে গেছি ফোরামে! এটার আনন্দটাই অন্য রকম ছিল! কেন থাকবে না! অই যে আমি তো কখনো কোথাও ওপেনলি লিখি নাই! কি বা লিখছি! সব হইল রাজ কার ঘটনা! আমার নিজের একান্ত আমার অনুভূতি গুলো! আমি রিসার্চ টাইপ লিখা লিখতে পারি নাই!
আমি যেমন হাউ-কাউ করা পাব্লিক! 😛 আমার লেখা গুলোও অই রকম 😛 :v আস্তে আস্তে মুটামুটি টাইপিং এর হাত ফ্রি হয়ে গেল! এখন এত স্পিডে লিখি যে বানান ১৪৪ টা ভুল হয়! :3

কিন্তু দুঃখজনক হইলেও সত্য বাকি ফোরাম আর ব্লগের মত আমাকেও এইখানে কোন ঠাসা করে ফেলা হইছে! :3  বর্তমান ইসরাঈল-প্যালেস্টাইনদের মত অবস্থা! 😛 হামাস এটা এটাক করার কারনে ইসরাঈল শত শত মিসাইল এটাক করা শুরু করছে! আমার এই একটা এটাক করার এ্যগেইন্সটে আমার উপর মিসাইল মারা শুরু করছে আর সারা ফোরামবাসি চুপকরে মজা নিসে! একজন যদি কথা বলত! পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আর যাব না ফোরামে! আমার লেখা আজকাল তাদের কাছে ন্যাকা ন্যাকা লাগে! যে ফোরামিক গেল এক বছরে তার চেহারা দেখায় নাই ফোরামের সে এসে আমাকে থাপড় মেরে যায় কথা দিয়ে! কই তখন তো কেউ স্ট্যান্ড বাই হয়ে বলে নাই তার বিরুদ্ধে! সেই ফ্রেন্ড আর দু’তিন জন ফোরামিক ছাড়া কাউকে আমি ডিফেন্সে কথা বলতে দেখি নাই! তারপরও ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার উপস্থিতি তাদের কাছে প্যলেস্টাইন্দের মত মনে হয়ে হয়েছে! আমিও বের হয়ে চলে আসলাম! চলে এসেছি তো এখন মানুষ জনের আহাজারি “ফিরে আস, ফিরে আস!” :3

তবে আমি স্বীকার করি ফোরাম এর মডারেশন প্যানেল এর ব্যক্তিরা এক কথায় চমৎকার। অন্তত তাদের ব্যবহার! 🙂 বাকি ব্লগ -ফোরামের থেকে এদের অবস্থা ভাল অনেক জনকে পেলাম! এখনও যাই সেই বন্ধুটা যদি কোন পোস্ট দেয় এই আশায়! কিন্তু সে কিছু লিখে না আর! 😦

আমি প্রজন্মফোরামে ছেড়ে সামুতে ঘাটি গেড়ে বসলাম 😀 মাঝে মাঝে যাই এখন! 😀 ব্যাক টু দি প্যাভিলিয়ন! ^_^ এখন আবার নতুন করে আবার ওয়ার্ডে যাত্রা শুরু করলাম! দেখি কি হয়! আমার ফেইম দরকার নাই! কিছু বন্ধু দরকার! যাদের সাথে একটু মন খুলে কথা বলতে পারব!

আগের যেখানে যেখানে ঘুরতাম, অনেকের সাথে ইয়াহুতে বা জিমেইল এর থ্রু যোগাযোগ ছিল! নানা কারণে সেই সম্পর্ক গুলো ছুটে গেছে!
বাস্তব জগৎ থেকে আসলে এক রকম ভেগে আমি এই মায়াতারের দুনিয়াতে আটকে যাই। এখনো এইখানেই আটকে আছি! বাস্তব থেকে এখানেও ছলা-কলা কৌশলের অভাব নাই! সাবধানের মার নাই! তারপর কত জনের প্রেমে যে হাবু ডুবু খেলাম! 😉 খাচ্ছি 😛 সেটা নিয়ে নাহয় আর একদিন লিখব!!! 😉

তবে হা আমাকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে এতটুকু আনার জন্য সেই বন্ধুটাকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ! O:)
আমার জড়তাগুলো কাটিয়ে দেবার জন্য! সে যতই বাঁদরামি করে বেড়াক না কেন ইউনিক একটা পিস! 😛
মানুষের ভেতরে কোয়ালিটি থাকলে কি ভাবে সেটা বের করে আনতে হয় ভালই জানে! আর সেটা টের পেলে সে এক্সপ্রেরিমেন্ট করে দেখতে পছন্দ করে! একরকম আনন্দ পায় বলে আমার ধারনা। এটা মনে হয় তার স্বভাবগত অভ্যাস!সব কথার মূল কথা! সে আমাকে অনেক সাহায্য করছে আমার নিজের ক্যাপাবিলিটি বুঝতে! হয়তো সে কিউরোসিটি থেকে কাজটা করছে!

বন্ধুটার নাম না বললেই না, আকাশ! :)তার নাকি প্রথম আলো ব্লগ দিয়ে লিখা লিখি শুরু (খুঁজে পাইলাম না এখন পর্যন্ত একটাও লেখা!)   একটু বদের হাড্ডি, কিন্তু  পরিষ্কার দিলের মানুষ! যা মনের ভেতরে আছে, তা মুখেও আছে! দু’মুখা সাপের মত না! যেটা ব্লগিং এর দুনিয়ায় দেখে দেখে আমার চোখ পচে গেছে! ডিফেন্স করে যেখানে তার ডিফেন্স এর প্রয়োজন মনে হয়! হয় নিজের জন্য নাহলে অন্যের জন্য!

হা তার কিছু উৎকট ব্যানহারের মাঝে মাঝে মেজাজ চরম গরম হয়ে যায়! কিনত ওই যে সাফ দিলে মানুষ!  খুব কম মানুষের এই টুকু সৎ সাহস দেখেছি, যে  অপরাধ করে তা স্বীকার করার মত সাহস রাখে! মানুষটা সারাক্ষণই ভ্যাবলার মত হাসতেই থাকে! আসলে যার কস্ট যত বেশি সে নাকি তত বেশি হাসে! এটা এই বাঁদর টাকে দেখে আর একবার প্রবাদটা ঝালাই করে নিলাম! সবাই কষ্ট যার যার কাছে আমারটা আমার কাছে বড় এত্ত এত্ত বড় 😛

অনলাইনে অনেক বন্ধু পাইছি। যাদের অবদানে এই চার কোনা বাক্স যার মাধ্যমে এখন লিখছি; এর  সম্পর্কে ন্যূনতম গিয়ান প্রাপ্ত হইছে আমার! 😛 এদের ধন্যবাদ না দিলেই নয়!  আকাশের কথা তো বললামই। সাথে আছে নয়ন! ( এর সাথে অবশ্যা এখন যোগাযোগ নাই! ) এর হাত ধরে আসলে  অনলাইনের অনেক চ্যাট রুমে ঘোরা হইছে! ইয়াহুর অনেক ফাংশান সম্পর্কে জানছি  😛 আমি তো এত বলদী ছিলাম কেমনে পিক আপলোড দিতে হয় তাও জানতাম না! :S

এর মাঝে আর আছে, রাব্বি, মাহমুদ ভাই, সোনিয়া আপু, মারটিন, জোহান, ইসাবেলা, টিপুনাকোস্কি ভাবীইইইইই আরকি আমার!  😉    এদের সাথে রিলেশনটা আসলেই অন্য রকম ছিল!

অনেক হেল্প করছে এরা আমাকে। ছোট চার কোনা বক্সটা সম্পর্কে কোন কিছু জানাতে কখনো তারা কুণ্ঠা বোধ করে নাই! ছোট থেকে ছোট অভিযোগ তারা অনেক মনোযোগ দিয়ে শুনছে, আর সমাধান করছে! ❤ ❤  । আমি এদের থেকে এখন অনেক দূরে ছিটকে গেছি! যদিও এদের মধ্যে আজ একজনের এর সাথেই আমার কথা হয়! বাকিরা কালে গর্ভে হারিয়ে গেছে!  এও হয়তো চলে যাবে একদিন! 😛 বা আমিও হয়ত চলে যাব!

এই হলাম পুরোনো আমি, আর আমার নতুন পোষ্ট! 😛

সবাইকে হাপিং ব্লগিং ^_^

কেউতো আর পড়তে না! ^_^ দেখি এখন কয়টা বানান ভুল হইছে!!!! 😀 😀 😀 😉